ব্লগে পোস্ট করার নিয়ম

 

ব্লগে পোস্ট করার নিয়ম/কীভাবে ব্লগ পোস্ট করা হয় ?

 







  
  1. ব্লগিং কি ? কিভাবে ব্লগিং শুরু করবেন ?
  2. ব্লগে একাউন্ট খোলার নিয়ম/কীভাবে ব্লগ একাউন্ট খোলতে হয় ?
  3.  ব্লগ থেকে কীভাবে আয় করা যায় ? 
  4.  ব্লগার layout Settings(Page,Social Top,Logo,Google Ads,Main Menu,Main Slide,Footer Section)
  5.  ব্লগার প্রোফাইল তৈরি করুন খুব সহজেই ?
  6.  ব্লগারে Google Ads & SEO জন্য ১০০% গুরুত্বপর্ণ্য  Blogger  Settings সকল কাজ এক সাথে ?
  7. ফ্রী ব্লগার Theme Download & Install কিভাবে করবেন ?
  8. ব্লগারে ভিজিটর পাওয়ার সহজ উপায় / ব্লগে Ranking বাড়ানো উপায় / সোশ্যাল মিডিয়া থেকে ভিজিটর আনার উপায় । 
  9. 100%  Google Adsense Approvel পাওয়ার  সহজ উপায় ?
  10. পাবলিশ করা পোস্ট Google Search  না আসার কারণ এবং এর সঠিক সমাধান কী ?


Title (শিরোনাম)

এখানে আপনার পোস্টের জন্য একটি আকর্ষনীয় এবং প্রাসঙ্গিক শিরোনাম লিখুন। শিরোনামটি ছোট এবং সহজে বোঝা যাওয়ার মতো হওয়া উচিত। যেন পাঠক শিরোনাম দেখেই বুঝতে পারে পোস্টটি কী নিয়ে।


Post Content (লেখা)

এখানে আপনার পোস্টের মূল লেখা লিখুন। আপনি টেক্সট ফরম্যাট করতে, ছবি, ভিডিও, লিঙ্ক ইত্যাদি যোগ করতে পারবেন। লেখাকে ফরম্যাট করার জন্য রয়েছে Bold, Italic, Link, Image, Video ইত্যাদি টুলস।আবার আপনি চাইলে টেক্সট ফরম্যাটিং টুলস ব্যবহার করে আপনি লেখার ফন্ট, সাইজ, রং, ইত্যাদি পরিবর্তন করতে পারেন।


Images (ছবি)

পোস্টের সাথে প্রাসঙ্গিক ছবি যোগ করার জন্য "ছবি যোগ করুন" (Add Image) অপশনটি ব্যবহার করুন।ছবি আপলোড করার জন্য আপনার কম্পিউটার থেকে ছবি নির্বাচন করুন অথবা অনলাইনে থাকা ছবির লিঙ্ক দিন।ছবি যোগ করার পর, আপনি সেটির আকার পরিবর্তন করতে পারেন এবং সেটিকে পোস্টের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণভাবে সাজাতে পারেন।


Videos (ভিডিও)

ভিডিও যোগ করার জন্য "ভিডিও যোগ করুন" (Add Video) অপশনটি ব্যবহার করুন।আপনি ইউটিউব বা অন্য কোনো ভিডিও প্ল্যাটফর্ম থেকে ভিডিও লিঙ্ক যোগ করতে পারেন।ভিডিওটি পোস্টের মূল অংশে যোগ করার আগে আপনি সেটি প্রিভিউ করে দেখতে পারেন।


Links  (লিঙ্ক)

অন্য কোনো ওয়েবসাইটে লিঙ্ক যোগ করার জন্য "লিঙ্ক যোগ করুন" (Add Link) অপশনটি ব্যবহার করুন।আপনি যে টেক্সটটিকে লিঙ্ক করতে চান সেটি নির্বাচন করে লিঙ্ক যোগ করতে পারেন। লিঙ্ক যোগ করার সময়, আপনি লিঙ্কটিকে নতুন ট্যাবে খুলতে চান কিনা, সেটি নির্বাচন করতে পারেন।



Preview (প্রিভিউ)

পোস্টটি প্রকাশ করার আগে "প্রিভিউ" (Preview) অপশন ব্যবহার করে দেখে নিন যে সবকিছু ঠিকঠাক আছে কিনা। আপনি মোবাইল এবং ডেস্কটপ উভয় ডিভাইসের জন্য প্রিভিউ দেখতে পারবেন।


 Save ( সেভ)

আপনি কোনো একটি পোস্ট তৈরি করার পর সেটি সেভ করে এখানে রাখা যায় আপনি চাইলে এই পোস্টটি যখন ইচ্ছা আপনি এখান থেকে Publish করে নিতে পারে


Publish (পাবলিশ)

সবকিছু ঠিক থাকলে, "প্রকাশ করুন" (Publish) বাটনে ক্লিক করে পোস্টটি প্রকাশ করুন। 

এইভাবে, আপনি ব্লগার ওয়েবসাইটে নতুন পোস্ট তৈরি করতে এবং প্রকাশ করতে পারেন। 


Labels (লেবেল) 

"লেবেল" (Labels) অপশন ব্যবহার করে আপনার পোস্টের জন্য প্রাসঙ্গিক লেবেল যোগ করুন, যা ব্যবহারকারীদের জন্য পোস্ট খুঁজে পাওয়া সহজ করবে। পোস্টকে ক্যাটাগরাইজ করতে ট্যাগ যুক্ত করুন। এতে পোস্টগুলো সাজানো থাকে এবং SEO-তেও সাহায্য করে।


Schedule (সময় ও তারিখ)

"সময় নির্ধারণ করুন" (Schedule) অপশন ব্যবহার করে আপনি আপনার পোস্ট প্রকাশের জন্য একটি নির্দিষ্ট তারিখ ও সময় নির্ধারণ করতে পারেন।যেমন : Automatically এটির কাজ হলো অটোমেটিক পোস্ট পাবলিস্ট হয়ে যায় আবার Data and Time এটির কাজ হলো আপনি যখন ডেইট এবং টাইম নির্ধারণ করে দিবেন সে অনুযায়ী এটি পাবলিস্ট হবে

Permalink (পার্মালিংক)

এখানে আপনি আপনার পোস্টের জন্য একটি নির্দিষ্ট লিঙ্ক তৈরি করতে পারবেন। পোস্টের ইউআরএল কাস্টমাইজ করুন।

Location (লোকেশন)

আপনার যে পোস্টটি কোন দেশের লোকেশন দিতে চান সে হিসেবে লোকেশন দিতে হবে

Options (কমেন্ট, Compose/HTML)

আপনি চাইলে আপনার পোস্ট কমেন্ট চালু থাকবে কিনা তা এখানে নির্ধারণ করে দিতে পারেন HTML মোডে গিয়ে কোড এডিটও করতে পারেন

Search Description (মেটা ডেসক্রিপশন)

গুগলে পোস্টটি কীভাবে দেখাবে, তার জন্য সংক্ষিপ্ত বিবরণ লিখা SEO-র জন্য এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

 

Blog Stats কীভাবে এটি কাজ করে ?

 

Blog Stats হলো ব্লগার (Blogger) প্ল্যাটফর্মে আপনার ব্লগের ট্রাফিক এবং ভিজিটর সম্পর্কিত ডেটার একটি সংক্ষিপ্ত বিবরণ। এটি মূলত ব্লগের বিভিন্ন দিক যেমন – আপনার পেস্ট কতজন পড়ছে, কোন দেম থেকে আসছে,কোন পোস্ট বেশি জনপ্রিয়, কোন ডিভাইস বা ব্রাউজার ব্যবহার করে আসছে, দর্শক সংখ্যা, পোস্ট পড়ার হার, কোন পোস্টগুলি বেশি জনপ্রিয় ইত্যাদি বিষয়ক ডেটা সরবরাহ করে। এই ডেটা ব্যবহার করে, একজন ব্লগার তার ব্লগের উন্নতি করতে পারে।

 

 পেজ ভিউ (Pageviews)

এই টুলটি ব্যবহার করে আপনি আপনার ব্লগের প্রতিটি পৃষ্ঠার ভিউ সংখ্যা গণনা হিসেবে দেখতে পারবেন আবার এর মাধ্যমে আপনি জানতে পারবেন কোন পৃষ্ঠাগুলি সবচেয়ে বেশি পঠিত হয়েছে বা দেখা হয়েছে তা এটির মাধ্যমে জানতে পারবেন  

সোর্সেস (Traffic Sources)

এটির কাজ হলো কোন ওয়েবসাইট বা কোন সোর্স্ থেকে ভিজিটরবা আসছে সেগুলো এখান থেকে দেখা যায় যেমন : Google.com Facebook.com,Twitter,Bing ইত্যাদি আবার অনেকেই ডাইরেক্ট লিংক বা অন্য সাইট থেকে রেফারেল করে আসছে সবগুলো দেখা যায়

 

পপুলার পোস্ট (Popular Posts)

পপুলার পোস্ট এটির মাধ্যমে আপনি জানতে পারবেন কোন পোস্টগুলো সবচেয়ে বেশি ভিউ এসেছে বা সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয় হয়েছে তা এখান থেকে দেখা যায়

অডিয়েন্স ডেটা (Audience)

অডিয়েন্স মানে হলো কোন কোন দেশ থেকে ভিজিটররা আসছে তা এখান থেকে দেখা যায়  আবার ভিজিটররা কোন ব্রাউজার ব্যবহার করছে যেমন : Chrome, Firefox ,Mobile, Desktop ইত্যাদি এখান থেকে দেখা যায় আবার দর্শকরা কতক্ষণ আপনার ব্লগে থাকছে, কোন পেজগুলো দেখছে, ইত্যাদি বিষয় জানা যায়।

সোশ্যাল মিডিয়া ট্র্যাফিক(Social media traffic)

ব্লগ স্ট্যাটস টুলটি ফেসবুক, টুইটার, বা অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম থেকে আসা ভিজিটরদেরও ট্র্যাক করে। এর মাধ্যমে আপনি জানতে পারবেন আপনার ব্লগটি সোশ্যাল মিডিয়া থেকে কত ট্র্যাফিক পাচ্ছে।

 

Blog Comments এর কাজ কী ?

ব্লগ কমেন্টের প্রধান কাজ হল একটি ব্লগের বিষয়বস্তু নিয়ে আলোচনা করা, প্রশ্ন করা,প্রশ্নের উত্তর দেওয়া এবং দর্শকদের সাথে সংযোগ স্থাপন করা। এটি ব্লগের মালিক এবং দর্শকদের মধ্যে সম্পর্ক্ তৈরি করে এবং ব্লগের বিষয়বস্তু সম্পর্কে মূল্যবান মতামত ও প্রতিক্রিয়া প্রদান করে। এছাড়াও, ব্লগ কমেন্টগুলি এসইও(SEO) এর জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হতে পারে, কারণ এটি ব্যাকলিঙ্ক তৈরি করতে এবং ব্লগের দৃশ্যমানতা বাড়াতে সাহায্য করে।


ব্লগ কমেন্ট এর মূল কাগ গুলো হলো :

 

প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করা: ব্লগের বিষয়বস্তু সম্পর্কে প্রশ্ন করা এবং লেখকের কাছ থেকে উত্তর পাওয়া।

বিশ্বাসযোগ্যতা বাড়ানো: বেশি কমেন্ট মানে পোস্টটি পাঠকদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ বা আকর্ষণীয়।

পাঠকের মতামত জানানো: পাঠকরা পোস্ট সম্পর্কে কী ভাবছে তা জানাতে পারে।

আলোচনা শুরু করা: একটি পোস্ট থেকে নতুন প্রশ্ন বা মতবিনিময়ের সুযোগ তৈরি হয়।

লেখকের সঙ্গে যোগাযোগ: লেখক সরাসরি পাঠকের প্রশ্নের উত্তর দিতে পারে।

দর্শকদের সাথে সংযোগ স্থাপন করা এবং একটি সম্প্রদায়ের অনুভূতি তৈরি করা।

SEO বেনিফিট: অর্গানিক কমেন্ট (প্রাকৃতিক আলোচনা) গুগলকে ফ্রেশ কন্টেন্ট হিসেবে চিহ্নিত করতে সাহায্য করে, যা র্যাঙ্কিং বাড়াতে পারে।

কমেন্ট সেটিংস কন্ট্রোল: ড্যাশবোর্ড সেটিংস কমেন্টস থেকে কমেন্টের অনুমতি (Anyone, Registered Users, Only Moderators) সেট করতে পারেন।

কমেন্ট ডিলিট বা এডিট: অপ্রাসঙ্গিক বা স্প্যাম কমেন্ট মুছতে পারেন (Posts Comments থেকে)।

আলোচনা ও বিতর্ক: ব্লগ পোস্টের বিষয়বস্তু নিয়ে আলোচনা করা এবং বিভিন্ন মতামত তুলে ধরা।

 

 

Post a Comment

0 Comments